নবকুমার:
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি , বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন আমাদের স্বাধীনতা আর তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার দিয়েছেন পদ্মা সেতু। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেচে থাকলে আমাদের উন্নয়ন হবে। আমরা জনগণের কাছে ভোট চাইতে যাবো। আগামী নির্বাচনে বিরোধী দল নানা কথা বলবে। আমরা জনগণকে বলবো আপনারা উন্নয়ন কাজ দেখে ভোট দেবেন। কারও কথায় বিচলিত হবেন না। যে বেশি উন্নয়ন কাজ করেছে আপনারা তাকেই ভোট দেবেন। আপনাদের ভোটে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হবে। জনগণ বিএনপির অপকর্ম , লুটপাট আর দুর্নীতি ভুলে যায়নি।
গত ৯ আগস্ট রূপসীতে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু গণমানুষের নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু না থাকলে আজকে আমরা পাকিস্থানের গোলাম হয়ে থাকতাম। পাকিস্থান আমলে আমাদের কোনো উন্নয়ন ছিলো না। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
তারাব পৌরবাসীর উদ্দেশে গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, তারাব পৌরসভার আনাচে-কানাচে রাস্তা-ঘাট হয়েছে। হাসিনা গাজী মেয়র হওয়ার পর তারাব পৌরসভা বদলে গেছে। তিনি বহু উন্নয়ন করেছেন। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে তারাব পৌর এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ এবং সার্জেন্টের দাবি জানাবো। যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রূপসীতে শওকত মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ৫ বেডের ডায়ালাইসিস সেন্টার আগামী মাসে ( সেপ্টেম্বর) উদ্বোধন করবো। গরীব মানুষ সেখান থেকে চিকিৎসা সেবা পাবে। এটা আমাদের রূপগঞ্জবাসীর জন্য সু-খবর । আমরা অনেক উন্নয়ন পেয়েছি। অতীতে অনেক সরকার ক্ষমতায় ছিলো। তারা শেখ হাসিনার মতো উন্নয়ন করেনি। তিনি মুড়াপাড়া কলেজ সরকারীকরণ করেছেন, ভুলতা ফ্লাইওভার হয়েছে, মুড়াপাড়ায় গাজী সেতু করেছি, রাস্তা-ঘাট করেছি, প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন দিয়েছি। নির্বাচনের পূর্বে কোনো উন্নয়ন বাকী থাকবে না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ শাহজাহান ভুঁইয়া, তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, তারাব পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোল্লা।
এসময় রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমান উল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সাইফুল ইসলাম, আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, ফিরোজ ভুঁইয়া, আশরাফুল ইসলাম, ফিরোজ খাঁন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব লায়ন শাহীন মালুম, তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর আমির হোসেন, রফিকুল ইসলাম মনির, আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, আক্তার হোসেন, জাকারিয়া মোল্লা,এড. জসিম ভুঁইয়া, রাসেল শিকদার, হামিদুল্লাহ, লায়লা পারভীন, মাহফুজা বেগম ,জোসনা বেগম, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মেহের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাইম ভুঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মফিজ, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক শীলা রানী পাল, রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার রিতা, তারাব পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবেল, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল শিকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি রিয়াজ আহমেদ, তারাব পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি আওলাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুমেল , মুড়াপাড়া সরকারী কলেজের জিএস সজিবসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারাব পৌর আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন । পরে অতিথিবৃন্দ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। তারাব পৌরসভার প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া হয়।